ইতিহাসের জনক কে? হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয় কেন

ইতিহাসের জনক: প্রিয় পাঠক বৃন্দ বিভিন্ন সময় আপনারা বিভিন্ন প্রশ্ন সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। তার মধ্যে একটি অন্যতম বিষয় হলো ইতিহাস। ইতিহাস সম্পর্কে সকলেরই কোনো না কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে।কাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় ইতিহাসের জনক সম্পর্কে এছাড়াও অনেকে অনেক তথ্য জানতে চান,
তাই আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছি উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের কাছে ইতিহাসের জনক এবং কেন তাকে জনক বলা হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার জন্য।
ইতিহাস হল এমন একটি বিষয় যা বহুকাল আগে ঘটে গেছে তবে তা এখনো মানুষের মুখোমুখি প্রচলিত অথবা জ্ঞান অর্জনের বিষয় হিসেবে পরিচিত।
ইতিহাস মানুষের শিক্ষনীয় বিষয়, পূর্বেপৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন শিক্ষামূলক ঘটনা যা বর্তমানে শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে ওই সকল ঘটনাগুলোকে ইতিহাসের স্থান দেয়া হয়েছে।। তাই,
ইতিহাস কে রচনা করেছেন এবং ইতিহাসের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন এবং কাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় ইত্যাদি সম্পর্কে সকলের অবগত হওয়া খুবই প্রয়োজন।
ইতিহাসের জনক কে?
গ্রিসের হেরোডোটাসনামক ব্যক্তিটি ইতিহাসের জনক হিসেবে পরিচিত। সামরিক সংঘর্ষের ঘটনাসাম্বলিত গ্রন্থের নামকরণ করেছেন গ্রীক ও পারসিটদের অন্যতম গ্রন্থটি, – Historia,,,
Historia, যাকে ইংরেজি অনুবাদ করা হয়েছে – Histories,,,
সাধারণত এই শব্দটিকে অনুসন্ধান এর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
অর্থাৎ ইতিহাসের জনক হিসেবে সকলের কাজে পরিচিত ব্যক্তিটি হলেন – গ্রিসের হেরোডোটাস।
অর্থাৎ ইতিহাসের জনক হলেন – গ্রিসের হেরোডোটাস নামক ব্যক্তিটি।
আরো পড়ুন: ১ টন কত কেজি | 1 টন সমান কত কেজি
বাংলাদেশের ইতিহাসের জনক কে
বাংলাদেশের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাস রচনা করা হয়েছে।
এসব ইতিহাসের মধ্যে রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ইতিহাসে বিরল। রয়েছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ যা নয় মাসব্যাপী হয়েছে এবং নিজেদের ভাষা অর্জনের জন্য চেষ্টা করা হয়েছে।
অর্থাৎ বাঙালিরা নিজেদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে যুদ্ধ চালিয়েছেন তা ইতিহাসে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনায় ঐতিহাসিক বা ইতিহাসের স্থান অর্জন করলেও, বাংলাদেশি নিজস্বভাবে বা দেশভিত্তিকভাবে কোন ইতিহাসের জনক আজ পর্যন্ত সৃষ্টি করা বা তৈরি করা হয়নি। তবে ইতিহাসের জনক হলেন, হেরোডোটাস।
অর্থাৎ ইতিহাসের জনক হিসেবে বিশ্বব্যাপী হেরোডোটাস।
বাংলাদেশে ইতিহাস রচনা করেছেন অথবা ইতিহাস রচনার মাধ্যমে বিরল খ্যাতি অর্জন করেছেন এরকম জনগণ নেই তাই বাংলাদেশের ইতিহাসের কোন জনক উল্লেখযোগ্য নয়।
ফলে,হেরোডোটাস কে বাংলাদেশ সহ পৌর পৃথিবীর ইতিহাসের জনক হিসেবে পরিচিতি লাভ পেয়েছে এবং তাকেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
হঠাৎ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট বা দেশভিত্তিকভাবে কোন আলাদাভাবে তৈরিকৃত ইতিহাসের জনক নেই।
তাই বিশ্ব বিবি সহ বাংলাদেশের পর্যন্ত ইতিহাসের জনক হলেন – হেরোডোটাস।
আরো পড়ুন: ফুসকা ইংরেজি কি? ফুচকা জিলাপি ইংরেজি কি
মুসলিম ইতিহাসের জনক কে
মুসলিম ইতিহাসের জনক হলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম। হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেন আল্লাহ তায়ালার বিশেষ বান্দা এবং রাসুল। তিনি হলেন হলেন ইসলামের শেষ নবী।
আল্লাহতালা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর উপর পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনকে নাজিল করেছেন। আল কুরআন নাযিলসহ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে সবার কাছে ইসলামকে পৌঁছে দিয়েছেন।
তাই ইসলাম ধর্মকে সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ অন্যতম ধর্ম হিসেবে বলা হয়ে থাকে। মুসলিম সাহিত্যে এবং মুসলিম ইতিহাসের বিরল ঘটনা ও উল্লেখযোগ্য এবং সকলের কাছে ব্যাপ্তি আকারে পরিচিত হলেন, হযরত মুহাম্মদ সাঃ।
প্রাচীন ইতিহাস তত্ত্বের জনক কে
ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করার ফলে প্রাচীন ইতিহাসের জনক বলা হয়ে থাকে হেরোডোটাস কে।ইতিহাস ঐতিহ্য ক্রমান্বয়ে বংশের ধারা কর্তৃকভাবে ভাই তো হওয়ার মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে টিকে থাকে। তবে টিকে থাকারই প্রক্রিয়া যিনি তৈরি করেন তাকে বলা হয় ইতিহাস তত্ত্বের জনক।
ইতিহাস রচনা এবং ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা থেকে শুরু করে ইতিহাসের সর্বজন গ্রাহ্য এরকম বিভিন্ন তথ্য ও মতামতের শহীদ ইতিহাস কে তুরান্বিত করার যে প্রক্রিয়া তাকেও বলা হয়ে থাকে প্রাচীন ঐতিহাসিক তত্ত্ব।
- প্রাচীন ঐতিহাসিক এইসব তথ্য সমূহ পরবর্তী বংশপরম্পরায় স্থানান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া।
- তবে প্রাচীন ইতিহাস সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি রচনা করেছেন তিনি হলেন হেরোডোটাস,,
প্রস্তুত, হেরোডোটাস এর থেকে ক্রমান্বয়ে করে কাছে ইতিহাস নামক ঘটনাটি বা পরিকল্পিতভাবে ইতিহাস রচনা করা শুরু এবং তা পরবর্তীকালে অন্যদেরকে ইতিহাস রচনামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জানানোর প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে।
এজন্য প্রাচীনকাল থেকে প্রাচীন ইতিহাসের জনক হিসেবে হেরোডোটাস কে বলা হয়।

হেরোডোটাস কে ইতিহাসের জনক বলা হয় কেন?
হেরোডোটাস,,হলেন একজন বিখ্যাত ব্যক্তি যিনি ইতিহাসের সর্বপ্রথম ঐতিহাসিক বিষয়গুলোর উপর গবেষণা এবং অনুসন্ধান করার মাধ্যমে ইতিহাসকে সবার সামনে তুলে ধরেছেন।
ঐতিহাসিক যে সকল বিষয়বস্তু ও ধাতু সময় হয়েছে তা তিনি সংগ্রহ করেন ইতিহাস লিখুন দ্বারা অনুযায়ী সাজান এবং তা পরবর্তীতে সকলেই সামনে তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিকভাবে হেরোডোটাসকে তার কৃতকার্যের জন্য ইতিহাসের জনক হিসেবে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। এছাড়াও তার এই কৃতকার্যের জন্য তাকে বলা হয়ে থাকে ইতিহাসের জনক অথবা ইংরেজিতে –
The Father of History,,,
বস্তুত ইতিহাস বা অন্য যেকোনো বিষয়ে প্রথম যিনি গবেষণা করেন এবং তার মাধ্যমে তা সকলের মাঝে তুলে ধরেন এবং তার সুখ্যাতি অর্জন করেন তাকে বলা হয়ে থাকে ওই বিষয়ের অধিষ্টতা বা জনক। ঠিক তেমনি ইতিহাসের জনক বলা হয়ে থাকে হেরোডোটাসকে,,
কারণ তিনি সর্বপ্রথম ইতিহাস সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা ও উন্মোচনী সকলের দুয়ারে উন্মোচিত করেন।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে ইতিহাসের জনক ও ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে বিভিন্ন কিছু জানানোর চেষ্টা করেছি।
তিয়াস এর জনক সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান তাই আমরা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরেছি।
আপনি যদি আপনার উক্ত প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে বিস্তারিতভাবে আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
পোস্ট রিলেটেড আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর নিচে দেয়া হলো:
১. নতুন ইতিহাসের জনক কে?
= লিওপোল্ড ফন র্যাংক।
২.আধুনিক ইতিহাসবিদ কে?
= লিওপোল্ড ফন র্যাংক।
৩.:হেরোডোটাসের বাড়ি কোথায়?
= হালিকারণাসাস ,,,কারিয় -তে,,যা বর্তমান দিনের বোদরাম , -তুরষ্ক।
৪.ইতিহাস কি বা কাকে বলে?
= অতীতের যে সকল কার্যপ্রণালী অথবা যে সকল বিশেষ মানবিক ঘটনাসমূহ ঘটে গেছে সেই সকল ঘটনাকে বর্তমানের সকলের সামনে উল্লেখযোগ্য ভাবে তুলে ধরার প্রক্রিয়াকে ইতিহাস বলা হয়।
৫. ইতিহাস তত্ত্বের জনক কে ছিলেন?
= হেরোডোটাস।
৬. চৈনিক ইতিহাস চর্চার জনক নামে কে পরিচিত?
= সিমা ছিয়েন।
৭. হেরোডোটাসের বাড়ি কোথায়?
= হালিকারণাসাস ,,,কারিয় -তে,,যা বর্তমান দিনের বোদরাম , -তুরষ্ক।
৮.ইতিহাসের জনক বা পিতা কে?
= হেরোডোটাস।
আরো পড়ুন: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা | ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য