শিক্ষা

অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের উদাহরণ

অ্যানিমেলিয়া

  1. অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের উদাহরণ

অ্যানিমেলিয়া রাজ্য হলো জীবজগতের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং বিস্তৃত রাজ্য, যেখানে প্রায় ৯০ লক্ষ প্রজাতির জীব বর্তমানে রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এটি জীববিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ এবং এতে অনেক ধরণের জীব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অ্যানিমেলিয়া রাজ্যে বিভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে একাধিক ফাইলাম বা শ্রেণীবিভাগ রয়েছে, যা জীবদের সহজে চেনা ও আলাদা করা যায়।  

উভচর প্রাণী

    সরীসৃপ প্রাণী

অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রধান কিছু ফাইলাম

1. পোরিফেরা (Porifera): সাধারণত স্পঞ্জ হিসেবে পরিচিত, এই ফাইলামের জীবদের শরীরের কোনো নির্দিষ্ট আকৃতি থাকে না এবং য়কোষ স্তরে সংগঠিত। তাদের শরীরের ছিদ্র দিয়ে পানি চলাচল করে এবং এর মাধ্যমেই তারা খাদ্য সংগ্রহ করে।

2. সিলেন্টেরাটা (Cnidaria): জেলিফিশ, সি অ্যানিমোনের মতো জীবেরা এই ফাইলামের অন্তর্ভুক্ত। এরা জলজ এবং সাধারণত রেডিয়াল সিমেট্রিক অর্থাৎ কেন্দ্রীয়ভাবে সিমেট্রিকাল হয়।

3. প্ল্যাটিহেলমিন্থিস (Platyhelminthes): ফ্ল্যাটওয়ার্মের মত একধরনের ফাইলাম, যাদের শরীর পুরু এবং অমসৃণ। এদের শরীরে আলাদা কোষকলা থাকলেও কোনো সত্যিকারের শরীর গহ্বর থাকে না।

4. আনেলিডা (Annelida): পৃথিবীতে সহজলভ্য মাটি ও কেঁচো এই ফাইলামের অংশ। এদের শরীর ভাগ করা এবং রক্ত সঞ্চালনের জন্য এক প্রকারের বন্ধ সার্কুলেটরি সিস্টেম বিদ্যমান।

5. আর্থ্রোপোডা (Arthropoda): পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ফাইলাম যা পোকামাকড়, ক্র্যাব, মাকড়সা ইত্যাদিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এদের দেহ এক্সোস্কেলেটন বা বাহিরের দিকে একটি শক্ত আবরণ থাকে এবং পায়ের গাঁট থাকে যা চলাচলে সহায়ক হয়।

6. মলাস্কা (Mollusca): স্নেল, অক্টোপাসের মত জীবেরা এই ফাইলামে পড়ে। এদের নরম শরীরের উপর একটি শক্ত শেল থাকে এবং এরা প্রধানত সামুদ্রিক হলেও কিছু স্থলজও রয়েছে।

7. একাইনোডার্মাটা (Echinodermata): এই ফাইলামের জীবগুলি শুধুমাত্র সামুদ্রিক পরিবেশে পাওয়া যায় এবং এদের দেহ ত্রিকোণাকৃতির যা পুনর্জন্মে সক্ষম।

8. কর্ডাটা (Chordata): এদের দেহে একটি নোটোকর্ড থাকে, যেমন মেরুদণ্ডী প্রাণী যারা এই ফাইলামের অন্তর্ভুক্ত।

অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য

এই রাজ্যের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবগণ তাদের পরিবেশ, দেহের গঠন এবং জীবপ্রণালী অনুযায়ী বিভিন্নভাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়েছে, যা তাদের শারীরিক গঠন, খাদ্যগ্রহণ পদ্ধতি, শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া এবং প্রজনন পদ্ধতির ভিত্তিতে আলাদা আলাদা করে চিহ্নিত করে।

অ্যানিমেলিয়া রাজ্য বা প্রাণীজগতের প্রাণীসমূহের বৈশিষ্ট্যগুলো বৈচিত্র্যময় ও জটিল। এদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন সিমেট্রি (সমতা), টিস্যু ও অঙ্গের স্তর, দেহ গহ্বর (কোয়েলোম), এবং প্রজনন পদ্ধতি।

১. সমতা: প্রাণীদের দেহের সমতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কিছু প্রাণী অসমmetrical (যেমন স্পঞ্জ), কিছু radial সমতাযুক্ত (যেমন জেলিফিশ) এবং কিছু bilateral সমতাযুক্ত (যেমন স্তন্যপায়ী প্রাণী)।

২. টিস্যু স্তর: প্রাণীদের টিস্যু গঠন বিভিন্ন ধাপে হয়। যেমন স্পঞ্জের কোষগুলো একটি সাধারণ স্তরেই থাকে, কিন্তু কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে টিস্যুগুলো বিভিন্ন কাজে বিভক্ত হয়। অধিক উন্নত প্রাণীদের অঙ্গগুলো আরও স্পষ্টভাবে বিভক্ত হয়ে গঠন করে।

৩. দেহ গহ্বর (কোয়েলোম): প্রাণীদের কোয়েলোম বা দেহ গহ্বর প্রাণীদের অন্তর্গত বিভিন্ন অঙ্গকে রক্ষা ও সমর্থন দেয়। কোয়েলোমযুক্ত প্রাণীগুলোকে Coelomate বলা হয়, যেখানে Pseudocoelomates ও Acoelomates-এর মতো কিছু প্রাণী সম্পূর্ণ কোয়েলোমযুক্ত নয়।

৪. প্রজনন: অধিকাংশ প্রাণী যৌন প্রজনন করে। যেমন, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখিরা অভ্যন্তরীণভাবে প্রজনন করে। অনেক প্রাণী আবার যৌন ছাড়াও কৃত্রিম প্রজনন করে থাকে, যেমন স্পঞ্জ ও জেলিফিশের মধ্যে budding ও fragmentation দেখা যায়।

এই বৈচিত্র্যময় গঠন এবং প্রজনন বৈশিষ্ট্যের কারণে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণীগুলি বাস্তুসংস্থানে আলাদা আলাদা ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয

আমরা যতটুকু পারছি এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি আরও জানতে ইচ্ছুক হলে এই লিংকে ক্লিক করতে পারেন 

  1. আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

এক কথায় বোজো 

অ্যানিমেলিয়া রাজ্য জীবজগতের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় রাজ্য, যেখানে প্রায় ৯০ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরণের প্রাণী যেমন স্তন্যপায়ী, পাখি, মাছ, উভচর, এবং সরীসৃপ অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই রাজ্যে পোরিফেরা, সিলেন্টেরাটা, প্ল্যাটিহেলমিন্থিস, আনেলিডা, আর্থ্রোপোডা, মলাস্কা, একাইনোডার্মাটা এবং কর্ডাটা সহ বিভিন্ন ফাইলামে ভাগ করা হয়েছে, যা তাদের সহজে চেনা ও শ্রেণীবিন্যাস করতে সহায়ক।

মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী হলো প্রাণীজগতের দুটি প্রধান গোষ্ঠী, এবং এদের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। মেরুদণ্ডী প্রাণী (যেমন: মাছ, পাখি, স্তন্যপায়ী) দেহে মেরুদণ্ড বা কঙ্কাল থাকে, যা তাদের শরীরের আকার বজায় রাখতে সহায়ক। এগুলি সাধারণত জটিল ও উন্নত স্নায়ুতন্ত্র এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে গঠিত, যা তাদের বিভিন্ন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়ক করে।

অন্যদিকে, অমেরুদণ্ডী প্রাণী (যেমন: পোকামাকড়, কেঁচো, অক্টোপাস) দেহে কোনো মেরুদণ্ড নেই। তারা হাড়বিহীন হওয়ায় তাদের শরীর সাধারণত নমনীয় এবং সহজে পরিবর্তিত হয়। অনেক অমেরুদণ্ডী প্রাণী পরাগায়ন ও পচন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করে বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

এই গোষ্ঠী দুটির বৈচিত্র্যময় গঠন এবং প্রক্রিয়া প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের অবস্থান ও কার্যক্রমে ভিন্নতা সৃষ্টি করে। মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আমরা তাদের সহজেই চিহ্নিত করতে পারি, যা জীববিজ্ঞান শিক্ষায়ও অনেক সহায়ক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button