অনাবৃষ্টির কারণ: আবহাওয়া এবং জলবায়ুর বিভিন্ন পরিবর্তন ও প্রারম্ভিক বিষয়গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম বিষয় হলো অনাবৃষ্টি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত বিভিন্ন কারণে অনাবৃষ্টি বা অতিবৃষ্টির সৃষ্টি হয়।
এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে অনাবৃষ্টির কারণ অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি কাকে বলে ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
অনাবৃষ্টি হল আবহাওয়ার এবং দীর্ঘ সময়ের জলবায়ুর একটি অনবরত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ন্যায় পরিবর্তন। এর ফলে জনজীবন বিপন্ন হয়ে যেতে পারে।
এজন্য আবহাওয়া সম্পর্কে যথাযথভাবে সকলে জানা প্রয়োজন পাশাপাশি জলবায়ুর যে সকল পরিবর্তন জনিত কারণে অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি সৃষ্টি হয় এ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্ব অপরিসীম।
আরো পড়ুন: বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক স্ট্যাটাস
অনাবৃষ্টি কি?
কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির না হলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাকে অনাবৃষ্টি বলে। কোন অঞ্চলে যদি দীর্ঘ সময় ধরে প্রায় 20 থেকে 25 দিন বৃষ্টি না হয় তবে সে অঞ্চলের আবহাওয়া বা জলবায়ুর পরিবর্তনের এই অবস্থাকে অনাবৃষ্টি বলা হয়।
অনা বৃষ্টির ফলে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসলি জমি থেকে শুরু করে অন্যান্য ভাবে প্রাণী কোলে জীবন যাত্রার মান নির্ণয়ে ব্যাপকভাবে অনাবৃষ্টির প্রভাব ফেলে।
অনাবৃষ্টির কারণ
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা জলবায়ুর পরিবর্তন সম্পাদনা সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন তরঙ্গ তাপ, খরা,ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনাগুলোর মধ্যে প্রাক যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সারা বিশ্বে শেষ করে উনার কেউ যে সকল দেশ রয়েছে সে দেশগুলোতে খরা শুরু হয়েছে।
অর্থাৎ জলবায়ুর দীর্ঘদিন বা প্রায় ৪১ বছরের পরিবর্তনের কারণে কোন একটি অঞ্চলে বা দেশভিত্তিকভাবে অনাবৃষ্টির সৃষ্টি হতে পারে।
তাছাড়া মানুষের কার্যকলাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কৃষিকাজ অর্থাৎ এবং বিরূপ ভাবে জল ধারণ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজের উপর নির্ভর করে ওরা বৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে।
সাধারণভাবে বাতাসের কারণে ছোট ছোট কণা সমূহ উত্তোলন করতে পারে তবে তা অন্য অঞ্চলে চলে যেতে পারে। বাতাসের মধ্যে যে সকল কণাগুলো ঘর্ষণের মাধ্যমে বাতাসের ক্ষয় বা কোনাগুলোর ভয় করতে পারে।
ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এলাকার গাছপালার সমূহ সমর্থন করার ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয় ফলে এই কারণে বৃষ্টি অপর্যাপ্ত ভাবে হওয়ার ফলে একে অর্থাৎ জলবায়ুর পরিবর্তনকে অনাবৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়।
অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি কাকে বলে
অনা বৃষ্টি :-
সাধারণভাবে শুষ্ক মৌসুমীর যদি সর্বোচ্চ ২৫ দিনের বেশি সময় ধরে বৃষ্টি না হয় তবে তাকে অনাবৃষ্টি বলা হয়। অনা বৃষ্টি বাগ হওয়ার আর সাধারণত প্রাকৃতিক পরিবর্তন বা জলবায়ুর পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে।
অতি বৃষ্টি :-
সাধারণত কোন অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণের তুলনায় তুলনামূলকভাবে অধিকারের বৃষ্টি হলে তখন সে পরিস্থিতিকে অতিবৃষ্টি বলে।
কোন অঞ্চল বা দেশভিত্তিকভাবে কোন জায়গায় যদি ২০ থেকে ২৫ দিনের বেশি সময় ধরে বৃষ্টিপাত অনবরত চলতে থাকে অথবা 10 থেকে 15 দিনের বেশি সময় ধরে বৃষ্টিপাত চলতে থাকে তাহলে সেই বৃষ্টিপাতকে অতিবৃষ্টি বলে। অতিবৃষ্টি সাধারণত আবহাওয়া এবং জলবায়ুর উপর নির্ভর করে।
অনাবৃষ্টি কখন হয়
সাধারণভাবে লবণাক্ততা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞদের মতে অনাবৃষ্টি হয়। মৃত্তিকা সম্পদ হলো উন্নয়নের বিভিন্ন অবকাটা মোট ইনস্টিটিউটের বরিশাল আঞ্চলিকভাবে গঠিত একটি কার্যালয়।
সেখান থেকে গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, অধিক তাপমাত্রার ফলে মাটি এবং পানিতে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে সাধারণের তুলনায় প্রতি লিটার পানিতে লবণের হার চার থেকে প্রায় আট ডেসিসিমেন পর্যন্ত থাকতে পারে ফলে ধান চাষ করা সম্ভব হয়।
তবে, মাটিতে লবণের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে অনাবৃষ্টির সৃষ্টি হয় ফলে বর্ষাকালের তুলনায় শীতকাল অথবা গ্রীষ্মকালীন সময়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য অনাবৃষ্টি হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: এসিড বৃষ্টি কি?
বৃষ্টি না হওয়ার কারণ কি
বৃষ্টি না হওয়ার অধিকাংশ কারণ গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৃক্ষ ছেদন করা সাধারণত দূষণের মাধ্যমে গ্রীন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে তা জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলছে।
এছাড়াও পরিবেশে বৃক্ষের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে সমান সময়ের বৃক্ষ ছেদন অধিকারের হওয়ার মাধ্যমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার অথবা বৃষ্টি না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হিসেবে রয়েছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওদের গরমে পানি বেশিিয়ারে বাসবো হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে গরম বাতাস বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প ধরে রাখে। এছাড়াও মন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস ও জলবায়ুর পরিবর্তন হওয়ার মাধ্যম বা কারণ হলো বৃষ্টি না হওয়ার অন্যতম বা মুখ্য কারণ।
খরার পর বৃষ্টি হলে কি হয়
খরার পর বৃষ্টি হলে সাধারণত অতিবৃষ্টি যদি হয় সে ক্ষেত্রে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের একটি অন্যতম ইউনিভার্সিটি
অফ রিডিং এর আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ এরকম মতবাদ জানিয়েছেন যে খরা বা দীর্ঘতাব দাহের পর যদি অধিক বৃষ্টি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আকর্ষণিক ঝুঁকি রয়েছে।
এছাড়া খরা এরপর যখন বৃষ্টি হয় এ প্রসঙ্গে নিজ দেশের বিষয়ে বলেন যে দীর্ঘ সময় ধরে যদি বৃষ্টি না হয় অর্থাৎ অনাবৃষ্টি বা করা হয়
তাহলে দেশটির আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায় পাশাপাশি শুষ্ক আবহাওয়া থাকার কারণে অনেকদিন পর বৃষ্টি হওয়ার ফলে তা মাটি এবং অন্যান্য পানি শুশনি ও বস্তু সমূহ খুব দ্রুত সেই বৃষ্টির পানিকে শুষে নেই।
তবে তীব্র পরিমাণে খরা এবং তীব্র তাপদাহ থাকার পরে পানির অত্যন্ত শুষ্ক ও চতুর হয়ে যাওয়ার কারণে সেই মাটিতে পানি মিশতে অনেক সময় লেগে যায় তবে বৃষ্টি যদি অধিকারে হয় বা হওয়া শুরু হয় সে ক্ষেত্রে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে অতিবৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি, আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে প্রতি বৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টি সম্পর্কে আপনার যে সকল তথ্য জানার ছিল অথবা আপনি যে সকল তথ্য জানতে চেয়েছেন তা আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।